শফিকুল ইসলাম
বরিশাল প্রতিনিধিঃ-
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় ১৯৭৪ সালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠার ৪৯ বছর পরে ৭ আগস্ট সোমবার প্রসুতির সফল সিজারিয়ান অপারেশন চালুর মাধ্যমে প্রথম বারের মত উদ্বোধন করা হয়েছে অপোরেশন থিয়েটার।৭ আগস্ট সোমবার সকালে উপজেলার উত্তর বড়মগড়া গ্রামের জটিল জয়ধরের স্ত্রী প্রসুতি স্বপ্না বাগচীর সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়।সিজারিয়ান অপারেশনে দায়িত্ব পালন করেন গাইনী কনসালট্যান্ট ডাঃ মশিউর রহমান, এ্যানেথেস্থিয়া কনসালট্যান্ট ডাঃ আনিচুর রহমান, মেডিকেল অফিসার ডা. তরিকুল ইসলাম, সিনিয়র নার্স মাধবী লতা রাজিব, সম্পা ভান্ডারী ও মাধবী গাইন প্রমুখ। এসময় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ বখতিয়ার আল মামুন উপস্থিত ছিলেন।নবজাতক পুত্র সন্তানের পিতা জটিল জয়ধর জানান, বিনামূল্যে এই হাসপাতালে আমার স্ত্রীর সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। চিকিৎসকদের সহযোগিতায় স্ত্রী এবং পুত্র সন্তান দুজনই সুস্থ রয়েছে।উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ বখতিয়ার আল মামুন জানান, ১৯৭৪ সালে আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠা করা হয়। পরে এটিকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। বর্তমানে ১শ শয্যার প্রস্তাবনা মন্ত্রনালয়ে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।প্রতিষ্ঠার পরে জাতির পিতার ভাগ্নে মন্ত্রী মর্যাদায় পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরীবিক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক আলহাজ¦ আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এমপি’র প্রচেষ্টা ও আগৈলঝাড়া উপজেলার কৃতী সন্তান স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের স্বাস্থ্য সচিব ডঃ মোঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের সহযোগিতায় চিকিৎসক সংকট কাটিয়ে আধুনিক সকল যন্ত্রপাতিসহ অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার চালু করা সম্ভব হয়েছে।উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত জানান, এই হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার পর এই এলাকার সাধারন মানুষের চাহিদা ছিল বিনামূল্যে যে কোন অপারেশন সেবা পাওয়া। কিন্তু সার্জন বা এ্যানেথেস্থিয়া চিকিৎসক সংকটের কারনে স্বযংসম্পূর্ণ আধুনিক অপোরেশন থিয়েটার চালু করা সম্বব হয়নি।দীর্ঘ দিন পরে হলেও অপারেশন থিয়েটার চালু হওয়ায় এলাকার মানুষ সিজারিয়ান অপারেশনসহ যে কোন অপারেশন বিনামূল্যে করাতে পারবেন। তবে এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য তিনি চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানান।
Leave a Reply